দাঁতে কী আসলেই পোকা হয়?
দাঁতে কোন ধরনের পোকার অস্তিত্ব নেই। আসলে আমাদের মুখের ভিতরে যে সাধারন তাপমাত্রা থাকে তাতে কোন পোকার জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই। তবে কোটি কোটি ব্যাকটেরিয়া থাকে যা খালি চোখে দেখা যায় না ।
দাঁত ব্রাশ করার নিয়ম হল সকালে খাবার পরে ও রাতে ঘুমাতে যাবার আগে । ধরি আমরা সবাই তাই করি । কিন্তু তবুও কিছু খাদ্য কণা দাঁতের আনাচে কানাচে লেগে থাকে ( বিশেষ করে যাদের দাঁত আঁকাবাঁকা ) এই খাদ্য কণা জমে থাকতে থাকতে এক ধরণের ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে থাকে এবং এক প্রকারের এসিড নিঃসরণ করে । যা দাঁতের উপর শক্ত
অংশে (এনামেল/Enamel )ক্ষয়প্রাপ্তি তে সাহায্য করে এবং এক সময় ছোট্ট একটী কালো দাগ বা স্পট পড়ে। সেখানে আবার খাবার জমে জমে এক সময়ের ছোট স্পট বা দাগটি বড় আকার ধারন করে । এটাই আসলে দন্তক্ষয় বা dental caries/ Tooth decay.
দন্তক্ষয়ের প্রধান কারনসমূহ(Causes of tooth decay):-
১। দাঁতের বিভিন্ন অংশে খাদ্যকণা লেগে থাকা।
২। আঠালো জাতীয় খাবার যেমনঃ- চকোলেট, বিস্কুট; এছাড়াও চিনি, মিষ্টি, কোক ইত্যাদি।
৩। বিভিন্ন ধরনের ব্যাক্টেরিয়ার প্রভাব।
৪। সময়- দাঁত ক্ষয়ের জন্য বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়ার একটি নির্দিষ্ট সময়ের প্রয়োজন হয়। সময়টা একদিন রাতে ব্রাশ না করলেই ব্যাকটেরিয়ার খাদ্যকণার মাঝে বংশবৃদ্ধি করার জন্য যথেষ্ট।
প্রতিরোধ করবেন কীভাবে?
চিকিৎসা করার চেয়ে প্রতিরোধ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
নীচের নিয়মগুলো মেনে চলার চেষ্টা করুনঃ
১। আঠালো ও চিনিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
২। যে কোন কিছু খাবার পর ভালোভাবে কুলকুচি করুন।
৩। সঠিক নিয়ম ও সঠিক পদ্ধতিতে দাঁত ব্রাশ করুন।
৪। কমপক্ষে ২-৩ মিনিট দাঁত ব্রাশ উচিত।
৫। নরম ও ছোট টুথব্রাশ ব্যবহার করুন (ব্রাশের মাথাগুলো দু'দিকে বেঁকে গেলেই পরিবর্তন করে ফেলা প্রয়োজন)।
৬।বাচ্চাদের সাধারনত দুই থেকে আড়াই বছর বয়স পরে বুকের দুধ খাওয়ানো যাবে না।
৭। আপনার শিশুকে কিছু খাওয়ানোর পরে পরিস্কার সুতি কাপড় দিয়ে দাঁত মুছে দিন ও পানি খাওয়ান।আপনার সোনামনির দাঁতের যত্ন নিতে ভুলবেন না!
৮। প্রতি ৬মাস পর পর ডেন্টিস্ট দারা মুখ ও দাঁত পরীক্ষা করান।
Saimoun Morshed Riad


Comments

Popular posts from this blog